মনজিনিস
তোর নতুন মহাকাব্যে, কেউ সারাদুপুর ভাববে ;
কোনো অস্পষ্ট ধোঁয়ার মাঝে জন্মাবে বাস জার্নি -
সে তো পিছলে যেতেও পারত, তাই মিথ্যে খোঁজা কার দোষ;
শুধু বুকের ভেতর দু'হাত দিয়ে আগলে রাখে কার্নিশ!
তবু উপচে তো তুই পড়বিই; আর কাব্যে জমে চর্বি;
সেই অতিরিক্তর গন্ধ নিয়েই কোলবালিশের স্বপ্ন,
তবে আসছে পরিবর্তন, সেও সামলে চলে গর্ত;
যদি সে তোর বিশ্ব না হয় তবে তুইও তো তার সব নোস !
আজ লুকোচুরিই খেলব, ডান হাতের মুঠোয় সেলফোন;
মনখারাপ, লুকোস ঠিকঠাক, আমি এক থেকে দশ গুনব;
যেই তারপর চোখ খুলছি, তোকে খোঁজার কথাও ভুলছি,
তুই , সময়মত ফিরে এসেই গল্প শোনাস, শুনব !
যত কমবয়সী ইচ্ছে, তারা বয়স ভেঙ্গে দিচ্ছে;
দেখো পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ে তোমার মত ঝরনা,
সব ফুরিয়ে যাওয়া গল্প, হাতে সময় বড় অল্পই;
আজ সিগারেটের মধ্যে পোড়ে সযত্নে সফ্ট কর্নার !
মনজিনিস ২
আজ অন্ধকারই ভরসা, চোখে কাজল কালো বর্ষা
তাই খেয়াল থেকে নামতে থাকে কৃষ্ণকলির গ্রন্থ;
যত কান্নাকাটির সন্ধ্যে, তোরা বর্তমানে মন দে,
দেখ হাসতে থাকে ঠোঁটের কোণা, হাসতে থাকে অন্তর !
সেই জাঁকজমকের সঙ্গী, কিছু পাঁচমেশালী ভঙ্গী ;
আর অনন্তকাল আটকে থাকে প্রতীক্ষিত বাক্যে ,
সাথে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, আর আমার সোজা দৃষ্টি
জানি পালাতে চায় আত্মা, সেও পালিয়ে যাক, যাক গে !
তবু যাবার আগে একবার, যদি সাহস থাকে দেখবার
আমি দু চোখ রেখে মাপব তোমার গভীরতার বিস্তার ;
কিছু চোখ ধাঁধানো কায়দা, যারা লুটতে আসে ফায়দা
তারা ছাড় পাচ্ছে জলদি, আর মুর্খের নেই নিস্তার |
কোন গল্প শুরুর পর্বে, তুমি ঝুট-ঝামেলা করবে
সেই খোঁজ রেখেছে শুধরে যাওয়া শক্ত মেরুদন্ডী,
তাই বুক ফাটা আনন্দে, আজ নোনতা কোনো ছন্দে,
সোজা মুখের কথায় বাতিল হল সাক্ষরহীন সন্ধি !