VS

ঈশ্বরের বয়স ঠিক কতখানি হলে

মরে যাওয়া আরো দ্রুত হোক

আমি চেয়েছিলাম

উঁকুন

ঈশ্বরী

বিশ্বাস করো তোমাকে এসব বলতে চাই নি

আমায় পেয়ে বসেছে দারুণ ফকিরি


Can't Read bengali font?


VS

এখন অনেক রোগেরই ওষুধ পাওয়া যায়। ওষুধ খেলেই রোগটা সাড়ে না। অনেকেই থাকে। ডিপ্রেসানে ভোগে। হাত কাটে ব্লেড দিয়ে।  চামড়ার সাদা অংশেরনীচ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে। ডাক্তার ওষুধ দিল। হাত কাটা বন্ধ হল। কিন্তু কেমন রোগা হয়ে গেল। কথা বলা কমিয়েদিল। ঝিম মেড়ে পরে থাকে সারাদিন। এগুলোইবোঝাচ্ছিলাম সোমিলিকে। মাঝে বেশ কয়েকটা মাস। তারপর আজ মেঘে ঢাকা তারা দেখতে।সিনেমা। নন্দনে। ওর অফিস কাছেই। দুটোয় ছুটি। চারটেয় শো। প্ল্যান করলাম আগে আড্ডামেড়ে তারপর সিনেমা। আমি একটা নাগাদই চলে গেছিলাম। আমার সময় জ্ঞান নিয়ে বদনাম আছে।আর ওর ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা বেশি হয়। এখনও অব্ধি সব সময়ই কমপক্ষে এক ঘণ্টা ওয়েটকরেছে আমার জন্য। আজ রেকর্ডটা ভাঙার চেষ্টায় ছিলাম। হল না। গিয়ে দেখলাম হলের গেটেদাঁড়িয়ে। বলল, কাজ ছিল না। তাড়াতাড়ি বেরিয়েছে। আমার খারাপ লাগে। তুই আমাকে একটা কলকরে নিবি তো। আমি তো বলেছিলাম এসে তোকে কল করব। তারপর বেরতিস। সোমিলি ওড়না ঠিককরতে করতে বলল, তুই কল করার পরই তো আমি এলাম। আমি চুপ করে গেলাম। বুঝলাম এতোবোঝানোর পরও কোন কাজ হয় নি। ওর এই তুইটা আমি নই। এটা ওর তৈরী করা। নামটা আমার।দেখতে আমার মতো। মানসিক দিক দিয়ে আলাদা। একটা অন্য সায়ন।

আমি ছেলেটা বেসিকালি খামখেয়ালি। নিজের মত চলি। অন্যের প্রতি কেয়ার নেয়াব্যাপারটা আমার নেই। এই কারণে বাড়িতেও কথা শুনতে হয়। কলেজের বন্ধুরা বলতে বলতে ফেডআপ। সোমিলি কখনো বলে নি। এতেই আরও খারাপ লাগে। প্রথমে ভাবতাম মানিয়ে নিচ্ছে। পরেজানলাম, তা নয়। ও দুটো ফোন ইউস করে। একটা রিলায়েন্স। যেহেতু আমার রিলায়েন্সে ফ্রি।আমরা বেশিরভাগ রাতেই কথা বলি। খেয়াল করলাম প্রতিদিনই রাত এগারটার সময় আর একটা ফোনেকল আসে। ওর কথা শুনে বুঝতে পারি ওর মা। ও পেইং গেস্ট হিসেবে থাকে। বালিগঞ্জের একটাবাড়িতে। একদিন ফোন রেখে বলল মায়ের শরীর খারাপ। কাল বাড়ি যাবে। পরের দিন ফোনেপাচ্ছিলাম না। আত্রেয়িকে কল করলাম। ওর বেস্ট ফ্রেণ্ড বলা যায়। আত্রেয়ি বলল, ওরজ্বর কাল রাত থেকে। এখন ঘুমচ্ছে। ফোনে চার্জ নেই। সুইচ অফ হয়ে গেছে। অফিস ফেরারপথে গেছিল ওর বাড়ি। আর বহুদিন সোমিলির সাথে সোমিলির বাড়ির কোন সম্পর্ক নেই। এটাইপ্রথম ধাক্কা। কার সাথে কথা বলে ও? অন্য কাউকে মা বলে ডাকে! এরকম অনেকসময়ই হয়।আরতিদি আমার বড়মাসিকে মা ডাকে বরাবর। পিনুদির মা যেমন আমাদের পাড়ার এক দিদাকে। রক্তেরসম্পর্কগুলো হারিয়ে গেলে মানুষ শিকড় ছাড়াই সেই সম্পর্কগুলো খুঁজতে থাকে। গুলিয়ে যাচ্ছিল। অনেকগুলো সম্ভাবনা নিয়ে ঘাটাঘাটি। জ্বর কমলেজিজ্ঞেস করলাম। খুব স্বাভাবিক স্বরে বলল, এলার্ম দেওয়াথাকে। এগারোটায়। ওর জীবনে মায়ের ফিসিকাল এক্সিস্টেন্স নেই। তাই ও একটা ভারচুয়ালতৈরী করে নিয়েছে। এরপর আমি যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কথা বলার সময়, দেখা করার সময় কমেএসেছে। আমারও একটা ভারচুয়াল এক্সিস্‌টেন্স তৈরী হয়েছে। প্রথম প্রথম কোন অসুবিধা হয় নি। গুরুত্ব দিই নি। এখন হচ্ছে।কারণ বাস্তবিক আমিটার থেকে ভারচুয়াল আমিটা বেশি প্রিয় হয়ে যাচ্ছে ওর কাছে। ও আর একটা রিলায়েন্সের সিম নিয়েছে। সেটা থেকে নিজের ফোনে কলকরে। আমার কল ওয়েটিং এ রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে যায় সায়নের সাথে।  আমি ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টাকরেছি। কিন্তু এখন ও ফিরতে পারছে না। ঠিক করেছে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাবে। কিন্তু আমিজানি, উনি ওষুধ দেবেন। তাতে ওর এটা হয় তো সেড়ে যাবে। কিন্তু আগের সোমিলি থাকবে না।সাইড এফেক্ট। এটাই বোঝাচ্ছিলাম ওকে। সাড়তে হলে ওকে নিজেকে সড়ে আসতে হবে। তার জন্যআমি সব সময় ওর পাশে আছি। আগেও বলেছি। কাজ হয় নি। আজ সারে বারোটা থেকে আমার আসারআগে অবধি ও সায়নের সাথে কথা বলে গেছে। নিজের মনের মত করে। আমি ওর ফোন চেক করেছি।সেখানে ওর অন্য রিলায়েন্সের নম্বরটা থেকে এস এম এস। বাড়ি পৌঁছেছ? মাথা ব্যথাকমেছে। খেয়েছ? বাড়ি ফিরে জানাবে। যেগুলো আমি কোনদিনই ওকে বলি নি। তারপর থেকেচেষ্টা করেছি এগুলো মনে করে বলার। তাতে অন্য সায়নের এম এস করা কমে নি। অন্য বিষয়নিয়ে এসেছে।

দু সপ্তাহ হয়ে গেছে সিনেমাটা এসেছে। তাতেও দু ঘণ্টা আগে টিকিট কাটতে হল।আগের সব শো হাউস ফুল। সিট পেলাম প্রায় সামনেই বলা যায়। ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে দেখতেইণ্টারমিশানের আগেই স্পণ্ডেলাইসিস। সিনেমা দেখতে এলে সোমিলির হাজারটা প্রশ্ন থাকে।ফিল্ম নিয়ে। দোষটা আমারই। প্রথম দিকে ইম্প্রেস করার জন্য লাইট ফ্রেম মেটাফোর সুরিয়ালিজিমনিয়ে অনেক জ্ঞান দিতাম। তখন ভালো লাগত। এখন বিরক্তি লাগে। না দেখাতে চাইলেও বেরিয়েআসে মাঝে মাঝে। আর হলের লোকেদের ক্ষেত্রে প্রায়ই। তারাপয়সা খরচ করে খুব মন দিয়ে ছবিটা দেখতে এসেছেন। হলেগুণ গুণ হলে ধমক দেন। মাঝে মাঝে নিজেদের মোবাইলও বেজে ওঠে। সোমিলি তাই প্রশ্নগুলো এখন আর মুখে করে না। এস এম এসকরে। চরম আদিখ্যেতাপনা। আমি বলি, হল থেকেবেরিয়েও তো জিজ্ঞেস করা যায়। বলে, তখন ভুলে যায় কি জিজ্ঞেস করবে। আসলে ও তোমার ওপরখুব ডিপেণ্ড করে। যেটুকু সময় পায় আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। আত্রেয়ী বলে। বোঝানোরচেষ্টা করেছি, কলেজের পড়া সামলে ফটোগ্রাফি, একটা ফিল্ম বিষয়ক লিটিল ম্যাগাজিন সামলানো...। ও বোঝে। তাই আর একটা সায়ন। আমার একবন্ধু বলেছিল, সাইকোলজিস্ট দেখা। সেখানে তো ওষুধ খাওয়া নেই। কিছুটা উদবিগ্ন ছিলাম,যদি আস্তে আস্তে নিজেকে পাগল ঠাওরে বসে। সেখান থেকে যদি বেরতে না পারে। তাও নিয়েগেছিলাম। কাজ হয় নি। শেষে বললেন, সাইক্রিয়াটিস্ট দেখান। একজন নাম করা সাইক্রিয়াটিস্টেরনাম ঠিকানা দিলেন।

আমি মিঠু দিকে দেখেছি। আমাদের পাশের বাড়ি। ছোটবেলায় রোগটা খুব সাধারণ ছিল।ওকে যে যা প্রশ্ন করত, মিঠুদি উত্তর না দিয়ে তাকে সেই প্রশ্নটাই করত। ওষুধ খাওয়ানোহল। পাগলের। এখন বদ্ধ উন্মাদ। একটা বল নিয়ে সারাদিন মেঝেতে ড্রপ খাওয়ায়। বয়সচল্লিশের কাছাকাছি। আরো আছে, রতন দা। একবার কাকে খোঁচা দিয়েছিল, বাঁশের কঞ্চিদিয়ে। সে বেধড়ক মারে। ধুম্‌ জ্বর। কিছুদিন কথা বলা বন্ধ। জ্বর সাড়লো। কথা বলল,খোঁচাটা মাইরাই ভুল করসি। বারবার একই কথা। সারাদিন। ডাক্তার। ওষুধ। এখন খালি গায়েহাফ প্যাণ্ট পরে ঘুরে বেরায়। হাতে কঞ্চি। আর খোঁচাটা মাইরাই ভুল করসি।

আজ আমার সিনেমা দেখায় বিশেষ মন ছিল না। মাঝে মাঝেই সোমিলির দিকে চোখযাচ্ছিল। আড়চোখ। দেখছিলাম, আমার দিকেই তাকিয়ে আছে বেশিটা সময়। আর যেটুকু পর্দায়,তখনই এস এম এস। কিছু মেটাফর ইউস হয়েছে। বুঝতে পারছে না। তাই নিয়েই হাজারটা প্রশ্ন।ঋত্বিক ঘটক। তাঁর জীবন নিয়ে সিনেমা। মানসিক হাসপাতাল। কারেণ্টের শক্‌। এল্‌কহলছাড়াতে চাওয়া। পারে নি। দেশি মদ উপসর্গ। ডাক্তারও বুঝেছেন। আসল কারণটা সড়ানো গেলকি!

সিনেমা শেষ হল। ঘোর কাটছিল না। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখলাম, সোমিলি।বাইরে দাঁড়িয়ে। আমি সামনে যেতে বলল, ফোন সুইচড অফ কেন? প্লিস কিছু মনে করো না। কিকরব বলো। দুটোতেই ছুটি হবার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে ম্যাডাম আটকে দিলেন। সাড়েপাঁচটায় ছাড়া পেলাম। আমি হতভম্ব হয়ে ফোনটা বের করলাম। দেখলাম তাতে এস এম এস এসেছে বেশকটা। সোমিলির। সিনেমাটার মেটাফর নিয়ে। তবে এস এম এস গুলো এসেছে আমার অন্য আর একটা রিলায়েন্সেরনম্বর থেকে।  

ঈশ্বরের বয়স ঠিক কতখানি হলে

 

 

ঈশ্বরের বয়স ঠিক কতখানি হলে

তুই ডাকা চলে?

যদিও দরকার ছাড়া কথা বন্ধ প্রায়

মাঝে মধ্যে ডাক পাড়ি নামের বানান জেনে নিতে

 

ঈশ্বরের কাছে আমি হাঁটু মুড়ে থেকেছি কিছুদিন

অথচ গায়ের রক্ত দিন দিন টেনেছে মাটিতে

সে সব শিকড় ভেবে গাছ কিছু গেড়েছে বসতি

তাদের ঈশ্বর ভেবে মানুষও মানতে ঢিল

জুড়ে দেয় আমার শরীরে। পরায় সিঁদুরের টিপ।

জানি না স্বামীর নাম, মরে গেছে কবে...

 

মৃতদের দেহ দেখলে বরাবরই গান মনে পড়ে

যে সব বাউল গান রেখে যেত ভিক্ষা করতে এসে

তাদের নদীর কাছে ফিরিয়ে দিতে গেছি

হিন্দু মতে অস্থি সৎকারে।

যতবার তাকিয়েছি জলে

আমার মুখের মধ্যে

কোথা থেকে আলোর দৃশ্যেরা

সমস্ত মাটির কথা ভুলিয়ে দিয়েছে

 

তারপর থেকে আমি

প্রেত সেজে ঘুরে বেরিয়েছি

আর

মৃত গাছেদের স্বান্তনা দিয়ে গেছি

পাতা গজাবার।




মরে যাওয়া আরো দ্রুত হোক

মরে যাওয়া আরো দ্রুত হোক.

অস্থির জানলার কাছে.

হাত পেতে দেখেছি.

পাশের বাড়ির কথা ছাড়া কিছুই দেয় না.

আর

কান্না বা হাসি আমি এখনো লিখতে পারি নি.

কি যে শব্দ আছে ঐ দুটোর ভেতর.

খুঁজতে খুঁজতে বোবা হয়ে গেছি.

এমন সময় দেখতে পেলাম সামান্য একটা জলের ফোঁটার ওপর সূর্য দাঁড়িয়ে আছে।




আমি চেয়েছিলাম

আমি চেয়েছিলাম তোমার সাথে আমার সম্পর্ক ঈশ্বরের মতো হোক। কোনদিন দেখি নি অথচ নিয়মিত কথা হয়।




উঁকুন

মায়ের চুলের জটে

বহুবার হারিয়ে গিয়েছি

রোদে মা চুল শুকোতে দিলে

সবাই এসে লুকিয়ে পড়তাম চুলের ভেতর

(তখন আর কোন লোকাবার জায়গা বেঁচে ছিল না)

এভাবে প্রতিটা দিন আমাদের খুঁজতে খুঁজতে

ঘুমিয়ে পড়ত মায়ের চুলে

দিন লেগে লেগে মায়ের চুল সাদা হয়ে গেল

আমাদের আর বেরোনো হল না

মায়ের মাথার রক্ত খেয়ে

ঘুমিয়ে পড়তাম

মায়ের মাথার কাছেই

শেষবার ফোনে যেমনটা  চেয়েছিল মা।




ঈশ্বরী 

 

এখন, সময় থেকে কিছু হাত দূরে

বসে আছি; আগুনের পোষাক পরণে

কপালে কে লাগিয়েছে চন্দনের ফোঁটা

তুমি বলছ- ধীর গতি

                  জন্মদিন জন্মদিন

                  শুভ হোক! শুভ...

 

প্রতিবেশী যে মেয়েটি এতদিন পরে

সন্তান-সম্ভবা; একটু দূর ঘরে

কেমন অবশ চোখ! উলুধ্বনি দেয়

আর খই উপচে পড়ে মুঠো থেকে মুঠো

পাখিরা কি খুটে খাবে? নাকি ঠোঁটে করে

তুলে দেবে ভুখাপেট শিশুটির মুখে...

যেভাবে আমার মুখে তুলেছ আগুন!

 

রাত্রি হলে আসে জ্বর; জ্বরের খোয়াবে...

মাথা যে ধোয়াবে- তার সম্ভাবনা কই!

জন্মেই যে         কবন্ধের  গন্ধ লেগে দেহে!

এখন পেড়োয় পথ ছড়ানের খই।

 

শরীরের জলছাপ, নখে খুঁটে খুঁটে-

পুরোনো ডায়রি পাতা, খসে গেছে জলে;

হেমন্তের রোগ যেন

                      ধরেছে, আঙুলে

ছুঁয়ে আছি কবিতার বাকি দাহ মুখ।

 

তুমি ছুঁয়ে আছ     ঠোঁট     নুয়ে পড়া কথা

তাতে কি অক্ষর কোন সুগন্ধার নামে...!

বন্ধক ছাড়াবে                নাকি জমাবে সন্দেহ?

সবচেয়ে চড়া সুদ ওটাতেই পাবে!

 

তারা এসে খসে পড়ছে বেনারসি পাড়ে।

তোমার বিয়ের শাড়ি; আঁচলের গিট

চুপিসারে খুলে...

  খেলতে

                     নদীর ওধারে...

                                          জড়ো হচ্ছে শীত।

 

যেসব মাছের চোখ                    আটকা পড়ে জালে

পাশ ফিরলে দেখতে পাই

                         সে চোখে তাকালে

তোমার নাকের নথ্‌    চোখের কাজল

‘মেঘের ওজন’ বুঝি                  

কোম্‌লো আজও...

 

বন্ধুদের নীচু স্বর বলো হরি! হরি ...

বন্ধুদের উঁচু স্বর বলো হরি? হরি ...

বাকি সব অন্ধ আজ

সব বাকি অন্ধকার

                      শুধু দেখতে পাই-

দেহ ছুঁয়ে আছে বসে          

আমার ঈশ্বরী



বিশ্বাস করো তোমাকে এসব বলতে চাই নি

 

...তবে কি সে সব নিঃস্তব্ধতা

উৎসব দিনে যাদের চাইতে

চলে যেতে তুমি কবর ভূমিতে!

জানি না কাদের কবর সেখানে

তুমিও হয়তো চেনো না তাদের।

আচ্ছা আমি তো মানুষ না হয়ে

কবর-ও হতে পারতাম কোন!

আমার প্রতি কি অবুঝ তখনও

হতে এরকম? বলো সুগন্ধা!




আমায় পেয়ে বসেছে দারুণ ফকিরি

 

‘আমায় পেয়ে বসেছে দারুণ ফকিরি।’

 

ঘুমের দরজা ঠেলে ঢুকছে নাবিক।

 

নৌকা হয়ে পাশে শুয়ে তুমি।

তার-ও পাশে আমার শরীর।

সমুদ্রে নামবে ব’লে

সেজেগুজে... তবু উন্নাসিক!

 

মাঝে মধ্যে পাশ ফিরছি কিনা-

আয়না দিয়ে অনেকক্ষণ দ্যাখো

কিংবা আড়চোখে...

 

টেবিলে সাজিয়ে রাখছ সংসারের টাকা!

আরও দুটো চাকা

আমাকে লাগিয়ে দাও;

ছেড়ে আসি স্টেশনে তাহলে।