[১]
বেগনি পাহাড় থেকে নেমে
আসছেন ঈথার দেওতা।
বৌদ্ধ-মঠ ছুঁয়ে থাকা মেঘ সম্বল।
এবার বাণিজ্য-পোত পূর্ব-সাগরে।
প্রথমতঃ গল্প বলা,অতঃপর কাম-
এভাবেই অশ্রু হয় প্রকৃত স্ফটিক।
[২]
এভাবেই মেনে নেওয়া যাক।
ভুলে যেতে হয় বলে
পাহাড়ের পার্শ্বদেশ ছুঁয়ে থাকে নদী।
নিরক্ষীয় গুল্মময় রোমাঞ্চ আজানু।
ফটোগ্রাফারের সাধে সাদা-কালো দিন।
ঠিক যেমনটি ঘুমে
কাল রাতে হারিয়েছে চার্লি চ্যাপলিন।
[৩]
এইখানে অরণ্য বুনেছে
গাণিতিক মায়ার প্রলাপ।
এইখানে রাত্রি ছোঁয় ধুলোর পাঁজর।
বাচাল যন্ত্রণা খেলে,পাঁজরে ফাটল-
কান্না আসে,কান্না যায়
-দিগন্তে মাদল।
[৪] দেওয়ালে এলিজি রাখা,বেশ কিছু
বজ্র-বিদ্যুত ও।
হাওয়ার মাস্তুল বেয়ে নেমে আসে
মৃত সব তারা।
এ শহর আসলেই হৃদয় চেনেনি।
গহন মারীর রঙে এঁকেছে গোধূলি।
তবু দেখো শহরের বাঁশিঅলা জানে,
কিভাবে গর্ভ নেয় আপেল-সুন্দরী।
[৫]
বেয়াদপ শব্দেরা জানে
কবিতা ও লেখা শেষ হলে,
জায়গা নেবে অর্বাচীন খেলা-
শুধুমাত্র শব্দ-বিভ্রমে।