দু-চারটে কথা- ৫

ঘুম প্রবণতা

সুহানি ফুটপাথের মোনোটোন -৬


দু-চারটে কথা-  

এভাবে আমি কখনো কিছু বলিনি

ইচ্ছের মতো ঢিলেঢালা অনুভূতি নিয়ে অথবা

কামনার মতো পারফিউম মেখে,

কাঁপতি শরীরের কাছে গিয়ে আমি কোনো কথা

বলিনি প্রচন্ড কৃষ্ণবস্তুর মতো ঋনাত্নক,

যেমন রোঁয়াদের স্মৃতিহীন আলো

যেমন খামখেয়াল পালকের অ্যান্টি-কজ্যালিটি

ইস্কুল-কিশোরীর গতিশীল ত্বকের কাছে গিয়ে

আমি কিছু বলিনি। আমি নিস্তব্ধ তাপমাত্রার

শিকড়ের মতো কোনো কথাই বলিনি অন্তত।


                 

ঘুম প্রবণতা

   

এসো,                            আমার আঙুল নড়ছেনা।

চোখ বন্ধ হচ্ছেনা,                   আমি ঘুমিয়ে পড়ছি

সিমেন্টের দলা আটকে আছে স্বপ্নের মগজে

তুমি এসো,       আমাকে ঢেলে ফেলো যত্নে

ম্যাপল-আকৃতির নাদান                 তারিখগুলোয়।

                         সব ভুলচুখ বাষ্পীভুত হয়ে যাক,

স্নায়ুদের

                      সিডেটিভ হয়ে যাক সহজ স্মৃতিরা।

ভয়ঙ্কর চাঁদ গলিয়ে পূর্বী বিকেল এনে দাও,

এই 

মেঘলা ঘুম প্রবণতার

পিছল আঁধার ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি দিনলিপির পরচি।

এসো,               চোখে আমার ডিফল্ট রিংটোন আমি

মানুষের উষ্ণতা ভুলে যাচ্ছি              পরবর্তী মুহুর্তে।


সুহানি ফুটপাথের মোনোটোন -৬                          

এই কুয়াশা, এই নেশালু ফুটপাথের ফান্ডাটা হল,

একটা একটা করে স্মৃতির কাছে ঘেসে থাকা যায়।

এক একটা মুহুর্তের কাছে বেশ কিছু মুহুর্ত যাপন।

তার বাইরে বিশেষ কিছু দেখা যায়না; সেটাই তো দরকার।

যেমন চুপচাপ হারিয়ে বসে আছি সেই তিলটার কাছাকাছি।

সেই স্পেসটাইম-হোল, যার ওপারে পরজন্ম দেখে ফেরা যায়।

এমন ট্রিপ তো আর পাবোনা, আত্মার এমন ঘুটঘুটে সম্মোহন।

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকো, ওই গর্তের পাড়েই দেখা হবে তোমার সাথে

তখন তুমি সদ্যজাত, তোমার নাম মনে করিয়ে দেবো, তোমায়

পেডোফিলিয়া থেকে সাবধান করে দেব। নেহাত্ই আমার স্বার্থে।