S:
Contents
অন্যান্য নবীর উম্মতেরা মুহাম্মদ সা: এর উম্মতের সাথে ইবাদত ও শরীয়তের পদ্ধতি নিয়ে ঝগড়া করলে তার জবাব :
ঝগড়াটে লোকদের চিনে রাখা কর্তব্য :
মূসা আ: একজন ঝগড়াটে লোকের আহ্বানে পড়ে অন্য এক ব্যক্তিকে ভুলক্রমে হত্যা করে ফেলেছিলেন :
1| SMov weev` 2|
SMov weev` :
wb‡R‡`i g‡a¨ weev` K‡iv bv, Zvn‡j †Zvgiv `ye©j wPË n‡q co‡e Ges †Zvgv‡`i cÖfve cÖwZcwË †kl n‡q hv‡e : 8:46,
(১৬:৪) তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ছোট্ট একটি ফোঁটা থেকে৷ তারপর দেখতে দেখতে সে এক কলহপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে৷
(হাজ্ব:৬৭) প্রত্যেক (নবীর) উম্মতের জন্য আমি একটি ইবাদাতের পদ্ধতি নির্দিষ্ট করেছি, যা তারা অনুসরণ করে; কাজেই হে মুহাম্মাদ! এ ব্যাপারে তারা (ঐ সব নবীর মিথ্যা অনুসরনকারীরা*) যেন তোমার সাথে ঝগড়া না করে৷ তুমি তোমার রবের দিকে দাওয়াত দাও৷ অবশ্যই তুমি সঠিক সরল পথে আছো৷৬৮) আর যদি তারা তোমার সাথে ঝগড়া করে তাহলে বলে দাও, “যাকিছু তোমরা করছো আল্লাহ তা খুব ভালোই জানেন৷ তোমরা যেসব বিষয়ে মতভেদ করছো ৬৯) আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেসব বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন৷”
(*তারা যদি সত্যিকার অর্থে ঐ নবীর শিক্ষার অনুসরণ করতো তবে অবশ্যই মুহাম্মদ সা: এর অনুসরণকারী হতো, কারণ পূর্ববর্তী সকল নবীই এ ভবিষ্যৎবানী করে গেছেন যে, পরবর্তীতে মুহাম্মদ সা: এর আগমন ঘটলে তোমরা তার অনুসরণ করবে । বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিতেও মুহাম্মদ সা: এর আগমনবানী ও পরিচয় সবিস্তারে বিধৃত রয়েছে। )
(২৮-ক্বাছাছ : ১৮) দ্বিতীয় দিন অতি প্রত্যুষে সে ভয়ে ভয়ে এবং সর্বদিক থেকে বিপদের আশংকা করতে করতে শহরের মধ্যে চলছিল৷ সহসা দেখলো কি, সেই ব্যক্তি যে গতকাল সাহায্যের জন্য তাকে ডেকেছিল আজ আবার তাকে ডাকছে৷ মূসা বললো, "তুমি তো দেখছি স্পষ্টতই বিভ্রান্ত৷" ২৭ ১৯) তারপর মূসা যখন শত্রু সম্প্রদায়ের লোকটিকে আক্রমণ করতে চাইলো ২৮ তখন সে চিৎকার করে উঠলো, ২৯ "হে মূসা! তুমি কি আজকে আমাকে ঠিক তেমনিভাবে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছো যেভাবে গতকাল একজনকে হত্যা করেছিলে? "তুমি তো দেখছি এদেশে স্বেচ্ছাচারী হয়ে থাকতে চাও, সংস্কারক হতে চাও না?
(২৭. অর্থাৎ তুমি ঝগড়াটে স্বভাবের বলে মনে হচ্ছে। প্রতিদিন কারো না কারো সাথে তোমার ঝগড়া হতেই থাকে। গতকাল একজনের সাথে ঝগড়া বাধিয়েছিল, আজ আবার আর একজনের সাথে বাধিয়েছো।
২৮. বাইবেলের বর্ণনা এখানে কোরআন থেকে আলাদা। বাইবেল বলে, দ্বিতীয় দিনের ঝগড়া ছিল দু'জন ইসরাঈলীর মদ্ধে। কিন্তু কোরআন বলেছে, এঝগড়াও ইসরাঈলী ও মিসরীয়ের মদ্ধে ছিল। এ দ্বিতীয় বর্ণনাটিই যুক্তি সংগত বলে মনে হয়। কারন প্রথম দিনের হত্যার রহস্য প্রকাশ হবার যে কথা সামনের দিকে আসছে মিসরীয় জাতীর একজন লোক সে ঘটনা জানতে পারলেই তা প্রকাশ পাওয়া সম্ভব হতো। একজন ইসরাঈলী তা জানতে পারলে সে সঙ্গে সঙ্গেই নিজের জাতির পালক-রাজপুত্রের এত বড় অপরাধের খবর ফেরাউনী সরকারের গোচরীভূত করবে এটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
২৯. যে ইসরাঈলীকে সাহায্য করার জন্য মূসা এগিয়ে গিয়েছিলেন , এ ছিল তারই চিৎকার। তাকে ধমক দেবার পর যখন তিনি মিসরীয়টিকে মারতে উদ্যত হলেন তখন ইসরাঈলীটি মনে করলো মূসা বুঝি তাকে মারতে আসছেন। তাই সে চিৎকার করতে থাকলো এবং বোকামির জন্য গতকালের হত্যা রহস্যও প্রকাশ করে দিল।)
(১৭:৬৮) আচ্ছা, তাহলে তোমরা কি এ ব্যাপারে একেবারেই নির্ভীক যে, আল্লাহ কখনো স্থলদেশেই তোমাদেরকে যমীনের মধ্যে প্রোথিত করে দেবেন না অথবা তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী ঘূর্ণি পাঠাবেন না এবং তোমরা তার হাত থেকে বাঁচার জন্য কোনো সহায়ক পাবে না ?
(১৭:৬৯) আর তোমাদের কি এ ধরনের কোনো আশংকা নেই যে, আল্লাহ আবার কোনো সময় তোমাদের সাগরে নিয়ে যাবেন এবং তোমাদের অকৃতজ্ঞতার দরুন তোমাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঘূর্ণি পাঠিয়ে তোমাদের ডুবিয়ে দেবেন এবং তোমরা এমন কাউকে পাবে না যে, তাঁর কাছে তোমাদের এ পরিণতির জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ?
(১৭:৭৪) আর যদি আমি তোমাকে মজবুত না রাখতাম তাহলে তোমার পক্ষে তাদের দিকে কিছু না কিছু ঝুঁকে পড়া অসম্ভব ব্যাপার ছিলো না৷