আহা, যতো যন্ত্র-শিশি -অর্ক চট্টোপাধ্যায়
১/২ স্কোয়ার পেরিয়ে -রঙ্গীত মিত্র
সাহসি হাত আর ডার্ক চকলেট -শ্রীজা ভট্টাচার্য্য
গুলি করার মুহূর্তটা আমি ঠিক জানিনা। কোনোরকম ‘যেন’ ‘মতো’ ‘হয়তো’ ‘নয়তো’ বোঝাতে পারছিনা গো। দুঃখিত। তবে সেদিনই বিকেলে আমি ওকে একটা শালগাছের চারা উপহার দিয়েছিলাম। এক ধরণের হাওয়া পৃথিবীর গায়ে মাখিয়ে দিচ্ছিলাম। তখন। যে হাওয়া অ্যাবজর্ব করে নিতে পারলে আমাদের অক্সিজেন না হলেও চলবে। যদি আমি বেঁচে যাই। ইয়েস।
যদি। তোমাকে আস্ত এক সিলেবাস দেখাবো। অনেকটাই হয়ে এসেছে। বেঁচে যাই যদি। এক ডাকের সাথে অন্য জুড়ে গেলেই চইচই অথবা জিন্দাবাদ নয়তো খিদের কলোনি কিংবা স্কুলে যেতে চাওয়া একজন রাস্তার বাচ্চা।
যেকোন সুর আর কাকের গু। যাঃ কাককে কোনোদিন পাখি বলেই ডাকা হলোনা তো! যাই হোক, ইজিচেয়ারে জল ভেঙে আসা বারান্দা, ছোট গলির ভেতর মিশে যাওয়া একটা দেশ… দাড়ি ভর্তি অ্যালার্জি। একদিন অথবা একমাস মোদ্দা কথা এক পৃথিবীর বয়সে জমে থাকা সমস্ত বরফ কেঁদে উঠবার সময় শুধু, মাত্র তোমাকে ভাবে।
- তুমি কি তোমার কথা বলছো?
- উঁহু, তোমার কথা-
- কিন্তু আমার কাছে তো কোনো পিস্তল ছিলো না!
- ছিলো তো, আমার কাছে,
- মানে?
- সেই মুহূর্তে খুব ভালো লাগছিলো আমার কেন জানিনা খুব কান্না আসছিলো জানো? কিন্তু আমাকে তো কাঁদতে নেই, দুঃখ, আফশোষ… এসব তো নিষেধ আমার… একটা সুর কিছুতেই হার মানছিলো না নিজের গুনগুনে, আর, তখন, মানে, সেই পরম মুহূর্তে তুমি ছাড়া আর তো কেউই ছিলো না আমার সামনে- তাই, তোমাকে জিতিয়ে দিলাম…
খুদে একটা কাঁচের শিশি। গায়ে লম্বা কাগজের লেবেল জুড়ে একদিকে ওর নাম লেখা। সুপ্রিয় পাঠক। অন্যদিকে কালো কালো দাগ, ওঠা-নামা করছে। একটা তাগড়াই হলে পরেরটা আবার পুচকে। উঠলেই নেমে আসছে; নামলেই আবার উঠতে ইচ্ছে করছে। সূচকের ওঠানামায় অস্থির। কিন্তু না; হয়তো আদৌ ওঠা নামা করছে না। একটা দাগ নাও তো হতে পারে। হয়তো সকলে প্রত্যেকে একা। হয়তো একটা প্রসেশন। খালি লম্বা লোকের পরে বেঁটে লোক আর তারপর আবার লম্বা লোক। সারি সারি নম্বর উঁকি দিচ্ছে।
ঝকঝকে শিশির ভেতরে গাঢ় হলুদ। কেমন মায়ায় ভেসে রয়েছে। সুপ্রিয়র মুখটা তখন দেখার মতো। মনে মনে ভাবছে, মানছি সকাল সকাল, তা বলে এতো হলুদ! কোনো মানে হয়? এখন শিশিটা হাতে ধরে ডেস্কে দিতে যাব কোন মুখে? এখুনি বাথরুমে গেলেও বিশেষ কোনো আশা নেই। ডেস্কের দিকে চোরের মতো আড়চোখে তাকাতেই আরো বিরক্ত লাগে। ঠিক যা ভয় পেয়েছিলো; ডেস্কের ওপাশে একজন মহিলা। ছেলে থাকলে তাও একটা কথা হতো! এই রং দেখেই না ভিসা বাতিল করে দ্যায়! কি কেচ্ছাটাই না হবে তখন। ভিসা পায়নি কেন জিজ্ঞেস করলে কি বলবে? এক শিশি হলুদ হিশু?
হেলথ ক্লিনিকের কাঁচের দেওয়াল ঠেলে বাইরে নভেম্বরের ঝকঝকে সকালে বেরিয়ে পড়ে সুপ্রিয়র চোখ। ভিসা পেলে আগামী বছর এইসময় বিলেত। রোদে রোদে চকচকিয়ে উধাও রাস্তায় রিকশার অস্পষ্ট একটা অবয়ব চোখে আসছে। যে চালাচ্ছে কালো কুলো সেই লোকটাকে যদিও বা একটু আধটু দেখা যাচ্ছে, কাঁচ আর রোদের স্বালোকসংস্লেষে আরোহী এক্কেবারে ফুরুৎ। রোদের শরীরে আলতো করে বুলিয়ে দেওয়া উধাও ফিসফিসিয়ে বলে দিচ্ছে তার চলে যাবার সময় হয়েছে। যদি না অবিশ্যি এক শিশি হলুদ হিশু বাধ সাধে!
সুপ্রিয় আবার কাঁচের দেওয়াল থেকে চোখ সরিয়ে শিশির দিকে মন দ্যায়। কি এমব্যারাসিং ব্যপার! খুদে একটা কাঁচের শিশি। গায়ে লম্বা কাগজের লেবেল জুড়ে একদিকে ওর নাম লেখা। সুপ্রিয় পাঠক। অন্যদিকে বারকোডের আন্তর্জাতিক তারামন্ডল। ডেস্কের দিকে তাকিয়ে দ্যাখে মহিলা তার দিকেই চেয়ে আছে। সুপ্রিয় তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিয়ে শিশির দিকে তাকায়। যেন নাম আর একগাছা নম্বর দাগাদাগি করে কেউ তাকে কয়েদ করে দিয়েছে ঐ শিশিটায়। অস্বস্তিটা আরো পেয়ে বসছে এমন সময় হাতটা একটু কেঁপে ওঠে আর হিশুর হলুদে ফ্যানা চল্কায়। বুদবুদিয়ে ওঠা ঐ চোখজোড়া হিশুর ভেতর থেকে সুপ্রিয়র দিকে কটমট করে তাকায়। হেলথ ক্লিনিকের এফোঁড়-ওফোঁড় কাঁচবাড়ির মধ্যে থমকে থাকা সুপ্রিয়র ব্যাজার মুখখানা দেখে সেও সমান অপদস্থ বোধ করে। শিশির ছিপিটাকে একটু আলগা করে কাঁচের দেওয়ালের বাইরে নভেম্বরের ঝকঝকে সকালে মন দ্যায়। ঝক্ঝকাতে-ঝকাতে সবকিছু ক্যামন উবে যাচ্ছে। থাকার মধ্যে শুধু কাঁচের খুদে একটা শিশি। একদিকে সুপ্রিয়র নাম, অন্যদিকে লম্বা বেঁটে বারকোড; আর এক্কেবারে কোণে ছোট হরফে ক্লিনিকের নামটা রোদের ডগায় চিক্চিকোচ্ছে:
সুরভি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
তুমি তো হারার মানুষ নও।
বেশ কনফিডেন্স।
প্রায় ক্লাস টুয়েলভের পর অনিকেতের সাথে আজ কথা হলও। মাঝে মাঝে উড়ো হাওয়া জানতো,ওর খবর। শুনতে-পেতাম ও না কি হারিয়ে গেছে...আসলে ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে ওর মা আর দিদির সাথে জমতও না। আমার মনে আছে আমরা দুজনে কে সাথে স্কুল ভর্তির পরীক্ষা দিয়ে,পাশাপাশি-রোল হয়ে কাটিয়ে দিয়েছে ১০টা ক্লাস...নিজেদের নুনু...নিজেদের...না কে যেন পিঙ করছে... আবার কে অনলাইন হলও?
কাট।
ফেসবুক না কি আমাকে চরম ভাবে টানে। দিব্বি মুখলুকিয়ে চ্যাট করা যায়। প্রিয়া সেদিন জানাচ্ছিলও,সে এই পূজোতে গোয়া গিয়ে “মাল” খেয়েছে। যা কানেকশানটা কেটে গেলো তো। শালা...কিসব দারুণ কথা বলছিলও…
কাট।
আবার ফোন বাজলো। মা বলে যাচ্ছে, ”ফুলকপিটা কিনতে হবে। ঝিঙে কাজের মাসি করতে পারেনা। আলু আছে। ওই তো দুটো তরকারি হবে...”
ফোন রেখে মা আবার কাজ করতে গেলো।
আর আমার বাদবাকির কানেকশানে তখন পরকীয়া।
---নেশা কেমন লাগে?
---কেন বলুন তো?
--না আমি প্রশ্ন, কি নেশা আপনার ভালো লাগে?
---আপনার বলুন?
---রাম।
---রাম খাইনি। স্কচ,ভদকা... বিয়ার ভালো লাগে না...
---ভদকা মানে স্মারনভ? বিয়ার তো মেয়েরা খায়...আপনি খান না। আমার আবার না ফ্লেভার সিগারেট ভালো লাগে।
ফোনটা রিং করছে। দেখি অনিকেত ফোন করেছে।
কাট।
বাড়িতে ওরা নানান ঝামেলা। মা বলছে টাকা দেবো। দিদি বলছে ওর নিজের শেয়ারের টাকা নিয়ে নেবে। আর এমন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে আবার এইসব শুনতে হবে। না ফোনটা ধরবোই না।
ক্রিং ক্রিং বেজে গেলো।
আবার বাজলো... সুজান গাইছে এখন কোহেন।
এফ-এস-আই ব্লগ টাইপ করলাম। এইবার দরজা বন্ধ করতে হবে।
কাট।
আমার না আজকাল খুব ভালো লাগছে। আমার সামনে দিয়ে যখন একজন মধ্যবয়স্কা মহিলা গাড়ি চালিয়ে চলে যান। কিম্বা যখন আপনাকে জিনস পরে গোল-পার্ক পার হতে দেখি,পার্টির অন্ধকারে সর্টস্কার্ট কমিয়ে দেয় আপনার বয়স। এই আপনি থেকে তুমি তে চলে এসে...একটু আলাদা হয়ে হয়ত বললে,” স্মোকিং জোনটা কোথায়?”
আমি বললাম, তুমি স্মোক কর নাকি?
---অকেসানালি।
কাট।
আড়ালের আওয়াজ আসছে। হিলপরা জুতো। আলোর কায়দা থেকে ছেঁকে নিচ্ছে গেলাস। ঝিনুকের মতো অনাবৃত-পায়ে হাত বোলাচ্ছে আদুরে আলো। সিগারেটের ধোঁয়া তোমার ম্যাচিং লিপস্টিক নেল পালিশ… মাইক্রো-মিনি পাশ দিয়ে ঘিরে ধরছে… টপের ফাঁক দিয়ে মুখ-লুকোনো যৌনতা আমাকে সূর্য-দেখার মহাসমুদ্রের মতো… ওই তিন মিনিট-টা অনেকটা বলেই সরে আসতে ইচ্ছে করে না। কখনো ৩৫ বছর পেরোনো তোমাকে ২০তে সবে এসেছও বলে মনে হতে মনে হয় এইতো বয়সের জিঙ্ক নিয়ে উড়ে যাচ্ছে নেশার শরীর… পাহাড়ের অবাস্তবের উপরে ঝোলা পুরুষের অধিকার খুবলে খাচ্ছে নক্ষত্ররা। ফোন বাজলেই, আমি কেবল মাত্র তোমাকেই লক্ষ করছি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে গ্ল্যামার শিখেছে, জীবনের মানে…
কাট।
কিসব লিখছি? নিজেকে ঝাঁকিয়ে নিতে গিয়ে দেখি। নীলজিন্স… আর একটা রঙিন সার্ট পরা তোমার হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছে। সাউথ সিটিতে তুমি যে গাউনটা পরে গেছিলে, সেটা হেভি। জানেন তো আমার সমবয়সি বন্ধুত্বের উপর কে যেন ছুরি বসিয়েছে। আমি আজকাল আমার সময়কে বুঝতেই চাইনা। কারণ এদের ভিতরটাই সালফিউরিক এসিডে বানানো। বি-ক্রিয়াজাত মগজে তারা সব পেয়ে যায় যন্ত্রের মতো। এরমধ্যে আমার ফোনে দুটো মিসডকল। সুজয় ফোন করেছে। আসলে আমি তো এখন একটা ঘোরের মধ্যে একদম থ্রি-এক্স মুডে আছি… মাথার ভিতর থেকে কে যেন বলছে, এখনো সর্টস্কার্টে তোমাকে টিন-এজার দেখায়… এখনো তোমার সাথে লঙ ড্রাইভ… যদি না তোমার বর কিছু মনে করে… সুনন্দার সাথে এই নিয়ে কম ঝামেলা। সুনন্দা, যে আমার প্রেমিকা ওকে বোঝাতে গিয়ে দেখেছি ও বুঝতেই চায়না। তার থেকে চেপে যেতে যেতে, আমি নিজেকে একটু আলাদা করে রেখেছি। আসলে আমাদের সমাজ পুরুষের চোখে দেখে। মেয়েদের সবেতেই না লেখা। আমার ভিতর কে যেন সমানাধিকার লিখে রেখে গেছে… সেক্সটয়ের সার্চ করা জাস্ট ডায়াল… এস-কর্ট সার্ভিস… এইসব সকাম-মৈথুনে-রত… যদিও আমরা এদের পুরুষজাত করে বানিয়েছি সিলেবাস… অর্থাৎ সব একদিক দিয়ে দেখেছি…
বার বার অনিকেত ফোন করছে।
১২টা মিসডকল।
মল্লারের। একটা এস-এম-এস।
বাবা এক-সপ্তাহ হলো মারা গেছেন।
আর তুই তো ফোন ধরলিই না।
আমি আর বাড়িতে থাকতে পারছিনা।
বড় মামা বলে দিয়েছে বাড়ি ছাড়তে।
আমি একটা এন-জিও তে কাজ পেয়েছিলাম, সেটা তোকে বলেছি তো।
আমি আজ রাতে কলকাতা ছাড়ছি। প্লেন একটু বাদে।
ওরা আমাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে।
বাবার জমানো টাকা… ফ্ল্যাট সব মায়ের নামে।
দিদিও কিছু টাকা পাবে।
আমি ৪ লাখ টাকা পেয়েছি।
ঝামেলা করে কিছু হবে না।
ওদের অনেক ক্ষমতা। তাছাড়া মামা বলে দিয়েছে, ঝামেলা করলে আর কিছু পাবো না।
বাই। আমি বাঙ্গালর যাচ্ছি। সেই ক্লাস টুয়েলভে দেখা হয়েছিলো শেষ। আর হবে না। আমি গিটারটাকেও নিয়ে যাচ্ছি।
বাই
আমি ফোন করলাম। অনেক বার। এখন ৯টা বাজে। ফোন সুইচড অফ। আমার কফির কাপের মাথায় এসি মেশিন। স্মৃতিরা খুলে দিয়েছে আমার মুখোশ। আমিই আমার শরীরকে শাওয়ারের জলে ভেসে যেতে যেতে দেখতে পেলাম… বৃষ্টি নামছে। ঘন-চুলের বৃষ্টিতে… কারেন্ট চলে গেলো… অন্ধকারে কফি-কাপ নিয়ে ভূতের মতো আমি বৃষ্টি দেখতে দেখতে ফোন করতে লাগলাম। বার বার। এইভাবেই সব রাস্তা আলাদা হয়ে যায়… তারারাও ধাক্কা মারে… ট্রেনের গায়ে… সেরকমই জটিল-ঘোলাটে জগতের মধ্যে আমি… আমাকে বাঁচাও। বাঁচাও প্লিজ।
উন্মাদের ভেতরে সুবর্ণমেঘ ধামাচাপা দিয়ে আছে ভালোবাসার বাদাম। দুঃখ, একবার তুমি রাস্তায় মশারির আপাদমস্তক রেখে দাও। বেড়ালের হৃদয়ে জন্মানো হাসি উড়ন্ত রোদের স্বস্ত্যয়ন। কারো ভেতরে উল্লেখ ব’সে থাকতেই পারে যেরকম অন্ধ গড়ায়। উন্মাদ, শুধু উন্মাদই একমাত্র ব’সে দেখছে, ভোরের থুতনিতে একটা গাছ একবার প্রজাপতি একবার ছায়া একবার সকাল ন’টার সূর্য— তিনটে চরিত্রেই অভিনয় করছে। কখনো ছাতিম গাছটা কাঠুরে সাজবে। শিমুল গাছটা ঠিকেদার। তার নিচে উন্মাদ আহ্লাদিত। তখন তার ভেতরে আব্বুলিশ বলছে সমুদ্রের ফেলে দেওয়া। ওদিকে, সামান্য পুকুরে, পাখিরা ব্যস্ত, পাখির আলোয়। যেখানে বড্ড নিচু হয়ে ঝুঁকে ছিল বুড়ো মেহগনি। আজ ঘরে ঘরে চেয়ারের হাতল একে অপরকে সারাদিন ক্লু পাঠাচ্ছে। টের পায় উন্মাদ। রাতে ওরা খুলে আসবে চেয়ার থেকে। খুঁজে নেবে কেটে নেওয়া গাছের গুঁড়িটা। পুকুর পাড়ে তখন রাত জেগে ব’সে আছে উন্মাদ এ দৃশ্য এ প্রেম দেখবে ব’লে। ক্ষমাপন্ন এই আবৃষ্টি চালান হচ্ছে গৃহভঙ্গের টুঁ-শব্দে। দহর নীলাচল, হাসছো মেধাতিথি। হাসছো? দ্যাখো, তোমারও পায়ের অতীত, সেও চলাচলের বেহালা বাজাচ্ছে। এত এত যন্ত্র হারমোনিয়াম এত বাঁশি এত বই লেখা খাতা কবিতা গল্প প্রশ্নপত্র বিল বাজেট অঙ্ক— সব তো গাছের বাজনা গাছের কবিতা গাছের প্রশ্ন গাছের গায়ে গাছের অঙ্ক। গাছের চেকবই গাছেরই পাশবুক। ভোরের নদীতে যত্নে দাঁড়িয়ে শানাঞি। তাকে ঙ্গাত করছে বিসমিল্লাহ। অন্যরকম একটা ফুলবাগান কষ্ট পায় নিজস্ব জন্মে। তার রাখাল লুকিয়ে আছে কমন রুমে। রাখাল কি উন্মাদ? যেন তার রিপু ফুলে আছে প্যান্টের ভেতরে। বৃষ্টির প্রাগৈতিহাসিক হাড় হয়তো। রাখাল রাখালির গম্বুজ ধুয়ে দিচ্ছে শুনশান দিয়ে। ওর জননীদ্বারে জিভের কুর্নিশ জানাচ্ছে রাখাল। একটু পরে ভোর হবে। যখন রাখালি উমমমম ব’লে উঠবে। মাটি বোঝাই লরি এসে দাঁড়াবে পুকুর পাড়ে।
সাহসি হাতঃ
না চকলেট আমি খাইনা। ডার্ক চকলেটতো একদমই না। ওতে আমার তলপেটের ক্ষরণ বেড়ে যায়। আরে সেই বইমেলাতে বলেছিলাম মনে নেই? আমি, আমার মা আর আমার বোন একসাথে যাচ্ছিলাম একটা যায়গায়। বাসে খুব ভিড়। আমার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল একটা লোক। ডার্ক কমপ্লেকশন। জামাটা নোংরা। দাঁতে গুটখার দাগ। তো সে যেমনই হোক আমি তো আর তাকে বিয়ে করতে জাচ্ছিনা। তার সাথে শুধু ওই টুকু পথই ছিল আমার সম্পর্ক। পথ ফুরলেই সম্পর্ক ফুরিয়ে যেত। কিন্তু কিছুক্ষন পর আমার পেছনে টের পেলাম যেন কিছু একটা ঠেকছে। ভাবলাম ওইটা ঠেকছেনা তো?!! কিন্তু দেখেছি অনেক সময় ছেলেরা প্যান্টের সামনের পকেটে ওয়ালেট, সিগারেটের প্যাকেট বা মোবাইল রাখে যা পেছনে ঠেকলে এই একিরকম অসভ্য অনুভুতি আসতে পারে। আর জিন্সের কাপড় এমনিতেই মোটা হয় তারপর আবার পেছনে পকেট লাগানো থাকে বলে আরও মোটা হয়ে যায় তাই সেই অনুভুতিটা অতগুলো মোটা স্তর পেড়িয়ে কতটা ঠিকভাবে আমার চামড়ায় এসে পউছাচ্ছে সে বিষয়ে আমার নিজের ওপরেই সন্দেহ হল। কায়দা করে ডান হাতটা লুকিয়ে আমার পাছার ওপর রেখে ওঁত পেতে রইলাম।
কিছু একটা ঠেকল আমার তালুতে। বুঝলাম ওটা সেই জিনিসই। খপ করে ধরে পেছনে ফিরে তাকাতেই লোকটা পুরো থ মেরে গিয়ে আমার দিকে তাকাল। ঢোক গিলল। আমি যেন খানিক ফিল করলাম তার বল দুটো শুকিয়ে ফুস্স্স্ চুপসে গেল আমার হাতের মুঠোর মধ্যে। চুপসাবে না? আসলে সে যে হাতে নাতে ধরা পড়ে গিয়েছিল। সেই থেকে আমার হাত দুটো সাহসি নামে খ্যাত।
ডার্ক চকলেটঃ
আর সেদিন তো তুই বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলি। সব লোক তখনও বাসে ওঠেনি। তুই আর আমি একা ছিলাম। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছিল তোর। তাই, একজোড়া সাহসি হাত টাইট ব্লাউজের বোতাম খুলে দিতেই বুকের সব ভার এসে পড়লো আমার হাতে। তোর নরম স্তনের চূড়ামণি ধরে শুয়ে পড়তেই জানালি যেন আসতে ঘুমাই, খুব ব্যাথা আছে।
সেই জোড়া সাহসি হাতই কাঁপল একটা সামান্য চকলেটের র্যাপার খুলতে গিয়ে। তোর দেওয়া চকলেটে তোর স্তনের গন্ধ ছিল আর চূড়ামণির মাতাল রং। কি করে কামড় বসাই অমন নিটোল চকলেটে? সিরিয়াসলি, আমি চকলেট খাইনা।
hagiographical notes: মারিজুয়ানা মেয়ে ১
লেট মি টেক ইউ টু দ্য বাবাজী…। আজ আবার খেয়ে লিখতে বসলাম।
সেদিন রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম একটা খুব নিম্ন-মধ্যবিত্ত লোক তার মাথার গোঁড়ায় একটা লাগেজ ব্যাগ রেখে একটা চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখলাম যে… সে আমার বাবা নয়। তবু মনে হল তাকে মৃত মনে করে আমি ন্যাড়া হয়ে যাই। মায়া ভুলে যাই আমার পাছা পর্যন্ত নেমে আসা যৌন-চুলের।
এখন ভেবে নি সে অনেক দূরবর্তী গ্রামে থাকে, তার বাড়িতে ইকোনোমিক্যাল ক্রাইসিস। তাই সে
বাড়ি ছেড়ে এখানে এসে ভিক্ষা করে আর বাড়িতে পাঠায়। যদিও তার বাড়িতে এসব কিছু জানেনা কেউ। সে শুধু লজ্জায় গরমের রাতেও আপাদ মস্তক চাদর চাপা দিয়ে শুয়ে থাকে ফুটপাথে। আসলে সে তার কাছে মৃত আর মৃতদের গরম বা ঠাণ্ডা বোধ আসেনা। মৃতদের যৌনাঙ্গ দাঁড়ায়না।
“তুই তৈরী?”
“হুম ম ম ম।”
“এবার সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এবার সব কালো। আরো অল্প শেষের দিকে ...”
এভাবেই খানিকটা বলতে বলতে চুপ হয়ে যায় সজল। দুজনের কেউই বোধায় আর জেগে নেই। একসময় ফোন কেটে যাবে ধরাবাঁধা ! সুতপার নিশ্বাসও ঠিক ভেসে আসবে না এদিকে – স্ট্যাটিকের ঝিঁ ঝিঁ আওয়াজে সব ফুঃ! একটা মহাজাগতিক মুহূর্তকে জুড়ে রাখবে ফোন
খেলাটা ওরা খেলত সেই ছোটোব্যালা থেকে। একদিন দুজনেরই বয়স ৮ বছর। সারাদিন একসাথে কাটানোর পর রাত জমলে দুজনে দুঘরে শুত। মাঝে থাকত ফোন। সজল ফোন করত সুতপাকে। “চল্ আত্মহত্যা আত্মহত্যা খেলবি?” সুতপা একপায়ে খাড়া! সব খেলা শেষ হয়ে গেলে ওরা এটা খেলে। “এবার সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এবার সব কালো। আরো অল্প শেষের দিকে ...” এগুলো নির্ঘাত কোনো কবিতার লাইন – কারুর পার্সোনাল ডায়রিতে এসব লেখা ছিলো,সজল সেগুলো পড়ে নেয়। সুতপা কে দেখায় না। সুতপা জানেই না সজল এভাবে কতকিছু তাকে না বলে বলে জেনে গেছে বরং সে ভাবে সজল যা জানে সুতপাও হুবুহু। সজল আওড়াতে থাকে ওইকটা লাইন। সুতপা কে বলে,”তুই তৈরী তো !এবার আমরা মরে যাবো। তুইও। আমিও। আমরা আর সাড়া দেবনা। তারপর কিছু একটা হবে ...” “সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এবার সব কালো। আরো অল্প শেষের দিকে ...”
তারপর একটা বিরাট বিরতি। ফোনদুটোও যেনো জেগে নেই,মটকা মেরে ভাবছে কত কি ! সজল আর সুতপা কে অন্ধকার ঘিরে থাকে। ওরা কথা বলে না –কেউ কাউকে স্পর্শ করে না অথচ: হয়; কতকিছু হয়।
কেউ আলো নিয়ে ঝুঁকে দেখিনি সজল আর সুতপা কি একসাথে নিস্তব্ধ হয়? একসাথে ঘুমিয়ে পড়ে ! হয়তো বা সজল ভাবে সুতপা ঘুমিয়ে গেছে,তাই চুপ করে যায় – ভাবতে চায় সত্যিই একদিন সব নাগালছাড়া হয়ে গেলে কিরকম হবে ! সব বলতে সব, ইন্দ্রিয়-প্রিয়জন-আত্মিকতা সবশুদ্ধু একদিন ঘুমের ওপারে গেলে তাকে জাগানো যায় না – হয়তো যায় কিন্তু সেটা খেলা নয়,কারণ খেলার একটা নিয়ম আছে। আবার হয়তো বা সজল ঘুমিয়ে পড়ে আর সুতপা আকাশপাতাল ভাবে এসব। কিমবা এরা কেউই ঘুমোয় না কিন্তু ঘুমোতে চায় নিয়মমত।
খেলাটা চলেছে সেই শৈশব থেকে কৈশোর হয়ে যৌবন। প্রতিরাতে এই খেলা অদ্ভুত শান্তি এনে দেয়। “আত্মহত্যা আত্মহত্যা” নামটা নিয়ে সুতপার আপত্তি হয় ১৬ বছরের কাছাকাছি। সজল বোঝে না এতে আপত্তির কি আছে?অবশেষে খেলাটা নামহীন হয়ে পড়ে। এমন একদিন তো আসতই যেদিন সজল চাইলেও সুতপা কে খেলায় পাবে না – তাই এই খেলাটাই সুতপা কে শিখিয়েছিলো কিভাবে নাগালের বাইরের অন্ধকারটাকে সাম্যে আনতে হয় !যেভাবে “সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এবার সব কালো। আরো অল্প শেষের দিকে ...”
ওরা দুজনে কবেই ঘুমে কাদা, তবে এটা কে বললো?! ওই শুনলেন? “এতক্ষণে অন্ধকারটা অন্ধকারের মত লাগছে। নিট অ্যাণ্ড ক্লিন। ” কে বললো?
হঠাত্
ই, কিছু একটা যেন বলে উঠলেন। আমরা সবাই মুখের দিকে তাকালাম। অমনোযোগী হয়ে মুড়ি খুঁটতে লাগলেন বাবা এরপর। দূর থেকে ঘুঘুর ডাক আর রোদ এসে আমাদের জানলার কপাট ঠেলছে। পাশের বাড়ির কাকীমা ভেজা শাড়িগুলো ছাদে শুকোতেই জানলাকে ছেড়ে রোদ ঝাঁপিয়ে পড়ল শাড়ি-শরীরে। আধো আধো অন্ধকারে আরো রহস্যময় হয়ে উঠছে আমাদের দশ ফুট বাই দশ ফুট। মা উদাসীন। বাবা অমনোযোগী। আমি ধৈর্য ধরতে না পেরে –
-- কিছু বলবে?
বাবার অন্যমনস্ক চোখ জামবাটীতে। মেঝেতে কয়েকটি মুড়ি ছিটিয়ে এদিক সেদিক তখনও।
--না কিছু না। তোর টেটের রেজাল্ট কবে যেন!
বাবা প্রশ্ন করতে পারতেন না সঠিকভাবে। কিভাবে ভেঙে ভেঙে কথাগুলো খেলার ছলে কিম্বা জাস্ট জানার আবদারে আমাদের কানে ঢুকে যেত। গুরুত্ব বুঝতে না পেরে আমরাও সবসময় এনসার দিতাম না । বাবা নিরীহ প্রানীর তুলনায় আরো একটু নিরীহ ছিলেন বলে আমাদের বিশ্বাস। আমি ভাইয়ের চেয়ে বড়। সে খুব হ্যাপী এখানে। তেঁতুলতলা, ফিসিং রড আর আবোল তাবোল কিছু পড়াশোনা নিয়ে বিন্দাস আছে। ওর বিন্দাসতেই আমার সর্বনাশ। সব আশা নিয়ে চারটি চোখ আমার দিকে। বাবা স্বেচ্ছা অবসর নেন নি, কোন অজানা হাতের জন্য অফিস থেকে বের করে দিয়েছে। যদিও এনকোয়ারি বাকি। মা তাতেই চূড় চুড়ি ছেড়ে শুধু শাঁখা পলা নিয়ে থাকে। আমরা শহর ছেড়ে গ্রামের ভিটেতে এখন। আমরা ভাইবোন মানিয়ে নিয়েছি, সুখীও কিন্তু বাবা পারেনি। মা ও না।
বিকেল নেমে আসছে। স্পষ্ট বুঝতে পারছি, মা এবার আলো হাতে এঘর সেঘর হাঁটবে। গড় হবে। প্রার্থনায় বিড়বিড়। বাবা এসব কিচ্ছু না করে আমার এসএসসি রেজাল্টের অপেক্ষায় বেঁচে থাকবে। আর আমি, আর একবার দেখে নেব বেঁচে থাকা এবং ভালো থাকা… ইত্যাদি… ইত্যাদি…
কংসাবতীকে আর খুঁজিয়া পাওয়া গেল না। সদর দরজার বাহিরে সেই একটানা শিকলটা এখনো ওইভাবেই... একদিন তাহাতেই বাঁধা থাকিত কংসাবতী, আজ আর নাই। এখন ফারাক বলিতে যতটুকু, বলা যায় সেই ‘ততটুকু’-ই নাই। কিছুদিন পূর্বেও দু-একজন তাহাকে... সেই মাঠ পার করিয়া... ওইদিকে, আনমনে। তাহার পর আর দেখা যায় নাই। বাড়িতে তো কত লোক... যায়-আসে রোজ, যাহারা সকালে চলিয়া যায়, ফিরিয়া আসে ঠিক, রাতের বেলা। শুধু কংসাবতী ফেরে নাই, আর কখনো।
জগন্নাথদের বাড়িতে আমিও বেশ কয়েকবার, তখনই দেখিয়াছিলাম, তাহাকে। শীর্ণ, রঙ ময়লা, দরজার পাশে শিকলে, লোক দেখিলেই আদরে আটখানা, বসিয়া থাকিত। তাকাইয়া থাকিত সকলের দিকে কেমনভাবে যেন, অতটুকুই পরিচয় ছিল। এর চাইতে বেশী কখনই... তবু তাকানোটা ছিল তাহার, ভারি অদ্ভুত। কী যে দেখে ও অমন করিয়া! দু-একবার কৌতূহলবশত জিজ্ঞাসাও করিয়াছিলাম, “কী দেখছিস অমন করিয়া, কাঁসাই?”, ‘কাঁসাই’ - নামটা আমিই প্রথম, ‘কংসাবতী’-কে ছোট করিয়া। উত্তরে তাহার ওই একইরকম ভাবে তাকানো, তাহার চেয়ে বেশী কিছু, পাওয়া যায়নি প্রত্যুত্তরে কখনই। আমি হাসিয়া বাড়ির ভেতরের দিকে, জগন্নাথের পিছন পিছন। কোনো ‘কিছু না দেওয়া’-র মধ্যে দিয়াও যে এতকিছু দেওয়া হইয়া যায়...
প্রসঙ্গত,
হয়তো একদিন আবারো, সেই পথ, উঁচুনিচু ধানজমি কিংবা দূর দূর তক্.... গোটা আকাশখানাই যেইখানে সমগ্র বাড়িঘর হইয়া ওঠে, সেইখানে। দেখিব একা একা ওইভাবেই, কাঁসাই, নিচু হইয়া বসিয়া আছে হয়তো। আর সেই সুদূর হইতেই, আবারো অদ্ভুতভাবে আমারই দিকে। হাত-পা জড়সড়, শিকলের অভ্যেস হইয়া গিয়াছে যেন তার। ভার হইয়া আছে, সমস্ত শরীর। আমিও নির্ভয়ে ওরই দিকে, এমন স্নেহ, পুষিয়া রাখিয়াছি। ইচ্ছে হয় মাথায় হাত রাখি, একবার, তারপর তাহার পাশে গিয়া... মনে হয় আবারো সমস্ত আক্ষেপ জড়ো করিয়া আনি, সেই জানিবার ইচ্ছা, মুখ ফুটিয়া তাই আরও একবার, বলিয়া উঠিব – “অমন করিয়া কি দেখিস আমার দিকে, কাঁসাই?” আর ও হয়তো বলিয়া উঠিবে – “মুক্তির পথ, সমস্ত বাঁধন হইতে, এই অপার শূন্যতা হইতে, মুক্তির ভেষজ আরাম। বুঝিস না তুই? ছিঁড়িয়া দিবি তুই আমার এই শেকল?” তখনো কি আমি সেইরকমই হাসি, যা প্রশ্রয়ের অধিক বেশী শুশ্রূষা মনে হবে, অন্তত সেইটুকুই, আবারো তার দিকে! আমার আঙুল ধরিতে চাহিবে ও। আর আমি তাহাকে, দিগন্তের দিকে। আরেক শূন্যতায়। আমিও কি ওর দিকে তাকাইয়া থাকিব, তখন... হাসিমুখে!!!
বিশেষ দ্রষ্টব্য,
যা প্রথমেই বলিয়া নেওয়া উচিত ছিল, অবশ্য কংসাবতী সম্পর্কে বা তাহার পরিচয় প্রসঙ্গে কিই-বা আর বলার থাকিতে পারে। এই গল্পে কংসাবতী কোনও চতুষ্পদী প্রাণী নয়, জগন্নাথের জ্যেষ্ঠ কন্যা, মানসিক ভারসাম্যহীন। জগন্নাথ আমার বন্ধু, ধানকলে কাজ করে, বাড়ি বর্ধমানের ভাতছালা গ্রাম। বড় মেয়ে অর্থাৎ এই কাঁসাই জন্ম হইতেই মানসিক ভারসাম্যতা হারাইয়াছে। দেখিতে দেখিতে আগামী বৈশাখে ২৩ বৎসর হইত তাহার, হয়তো। অথচ মাসকয়েক পূর্বেই, শেকল ভাঙিয়া সেইবার সেই যে, কোথায় যেন। জগন্নাথ খুঁজিয়াছিল, অনেক, আমরাও। কিন্তু পাওয়া যায় নাই। কাঁসাইয়ের কথা মনে পড়িলেই জগন্নাথ এখন কাঁদে, আর কাঁসাই!!! (মনে মনে আমি আরও একবার হাসিয়া উঠি)
পুনশ্চ,
পুনরায় গল্পে, ফিরিয়া আসি। এখন আমিও চাহিতেছি, কংসাবতী ফিরিয়া আসুক। কংসাবতী হাসুক একবার, অন্তত। চাহিলে এভাবেও ভাবা যাইতে পারে, তবে কি আমিও মুক্তি চাহিয়াছিলাম! সে যাহাই হোক, তবু একবার... একবার হাসিয়া উঠুক কাঁসাই। আজ তো পূর্ণিমা!!!
---